সরকারি হাসপাতালে ধর্ষিতা নাবালিকার চিকিৎসায় গাফিলতি, অমানবিক পুলিশও

442

৩০ মে উত্তরাখণ্ডের তেহরি জেলার বাসিন্দা ওই বালিকাকে নয়নবাগ অঞ্চলে ধর্ষণ করা হয়। চিকিৎসার জন্য নিগৃহীতাকে দুন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়। অভিযোগ, যথাযথ চিকিৎসা না করেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সরকারি হাসপাতালে ধর্ষিতা নাবালিকার চিকিৎসায় গাফিলতি, অমানবিক পুলিশও

(প্রতীকী ছবি)হাইলাইটস

  • বয়ান নথিভুক্ত করতে মেয়েটিকে ধর্ষকের সঙ্গে একই গাড়িতে ৪ কিমি পাড়ি দিয়ে আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ।
  • শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে সে যথাযথ বয়ান দিতে পারেনি বলে অভিযোগ।
  • হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের অমানবিক আচরণে ক্ষুব্ধ উত্তরাখণ্ডের নারী ও কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী রেখা আর্য।

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণের শিকার নয় বছরের মেয়েকে বিনা চিকিৎসায় ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল হাসপাতালের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বয়ান নথিভুক্ত করতে তাকে ধর্ষকের সঙ্গে একই গাড়িতে আদালতে নিয়ে গেল পুলিশ।

অভিযোগ, গত ৩০ মে উত্তরাখণ্ডের তেহরি জেলার বাসিন্দা ওই বালিকাকে নয়নবাগ অঞ্চলে ধর্ষণ করা হয়। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে এলাকার দায়িত্বে থাকা সার্কেল অফিসারকে সাসপেন্ড করে উত্তরাখণ্ড পুলিশ। চিকিৎসার জন্য নিগৃহীতাকে দুন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়। মেয়েটির বাবা-মায়ের দাবি, যথাযথ চিকিৎসা না করেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এরপরে অভিযুক্তর সঙ্গে একই গাড়িতে চার ঘণ্টা যাত্রার পরে যখন সে আদালতে পৌঁছয়, তখন তার শারীরিক অবস্থা এমনই খারাপ হয়ে পড়ে যে সে ঠিকঠাক বয়ান নথিভুক্ত করতে ব্যর্থ হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের অমানবিক আচরণে ক্ষুব্ধ উত্তরাখণ্ডের নারী ও কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী রেখা আর্য। তিনি জানিয়েছেন, ‘বিনা চিকিৎসায় ওই বালিকাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের রেহাই দেওয়া হবে না। পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করা হবে। নিগৃহীতাকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলার জন্য কাউন্সেলরদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।’

Источник