স্কুলেও সংস্কৃতে বিশেষ জোর

397

জাতীয় শিক্ষা নীতির খসড়া প্রস্তাবে স্কুল-কলেজে হিন্দির পাশাপাশি সংস্কৃতে পড়াশোনাতেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। দেশে ইংরেজি শিক্ষা ও বিষয়ের উপর চলতি গুরুত্ব কমিয়ে, ভারতীয় ভাষাগুলিতেই আরও মনোনিবেশের কথা বলা হয়েছে।

স্কুলেও সংস্কৃতে বিশেষ জোর

প্রতীকী ছবি।এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই সামনে এল সংস্কৃতর প্রসঙ্গ।

জাতীয় শিক্ষা নীতির খসড়া প্রস্তাবে স্কুল-কলেজে হিন্দির পাশাপাশি সংস্কৃতে পড়াশোনাতেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। দেশে ইংরেজি শিক্ষা ও বিষয়ের উপর চলতি গুরুত্ব কমিয়ে, ভারতীয় ভাষাগুলিতেই আরও মনোনিবেশের কথা বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ সংস্কৃত ভাষাতেও দেওয়া হবে বিশেষ গুরুত্ব। খসড়ায় জানানো হয়েছে, স্কুলের সব স্তরে ও উচ্চশিক্ষায় এই বিষয়ে পঠনপাঠনের সুযোগ থাকতেই হবে। এমনকী, উচ্চশিক্ষায় সংস্কৃতকে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে পড়ানোর প্রস্তাবও রয়েছে।

খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংস্কৃতে বহু বছর ধরে গণিত, দর্শন, ব্যাকরণ, সঙ্গীত, রাজনীতি, চিকিৎসা, বাস্তু, ধাতুকর্ম, নাটক, কবিতা এবং গল্প-সহ নানা কিছু লেখা হয়েছে। বহুমাত্রিক ভারতে অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক একতা তৈরির ক্ষেত্রেও সংস্কৃতের মহত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কেন্দ্রের এই খসড়া নিয়ে অবশ্য শিক্ষাবিদরা দ্বিধাবিভক্ত।

পুরাণবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর কথায়, ‘মাধ্যমিক পর্যন্ত সবারই স্কুলে সংস্কৃত পড়া উচিত। তার পর যারা একাদশ ও দ্বাদশে হিউম্যানিটিজ পড়বে, তারা সংস্কৃত পড়তে পারে। কিন্তু বিজ্ঞান ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সংস্কৃতের সেই প্রয়োজনীয়তা নেই। স্কুলে সংস্কৃত পড়লে অশেষ মঙ্গল আছে। আমাদের দেশে তামিল ও তেলুগু ছাড়া অন্যান্য ভাষার ক্ষেত্রে মূলই হল সংস্কৃত। স্কুলে একশো নম্বর না হোক, সংস্কৃতে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া যেতেই পারে।’

Источник